রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় অতিদরিদ্র কর্মসূচি ভেস্তে যেতে বসেছে। উপজেলায় নেই কোন তদারকি কর্মকর্তা যার-তার নামে হয়েছে অতিদরিদ্রের কার্ড। ফলে কোটিপতিদের নামও রয়েছে এ তালিকায়।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) স্বরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লেহেম্বা ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ডে রাস্তায় কয়েকজন লোক মাটির কাজ করছিল। এসময় লেবার সর্দার সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন আমার নাম এ তালিকায় নেই আনছারুল হোসেনের পরিবর্তে আমি দ্বায়িত্ব পালন করছি। তাছাড়া অনেক লোক কাজ না করেই সরকারি টাকা খাচ্ছে।
তালিকা ঘেটে আরো দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সইদুল ইসলাম তার কোটিপতি ভাগিনা রনি হোসেনের নামে অতিদরিদ্র কর্মসূচির তালিকায় নাম অন্তরভুক্ত করেছে। সে কাজ না করেও নিবন্ধন বিহীন মোবাইল নাম্বারে সরকারি টাকা উত্তোলন করছে। বাড়িতে গিয়ে কথা হয় রনি হোসেনের বাবা আনসারুলের সাথে। তিনি একান্ত স্বাক্ষাৎকারে জানায়, আমার একমাত্র ছেলে রণি সে শিক্ষাগত যোগ্যতায় মাস্টাস পাশ। আমাদের ২০ বিঘার অধিক জমি রয়েছে, মোটামুটি বাড়িঘর পাকা করেছি।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সইদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রনি আমার ভাগিনা। আমি তার নাম তালিকায় দিয়েছি। সে অতিদরিদ্রের কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা রাখে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সবাই এরকম বিত্তশালীদের নাম দিয়েছে আমিও দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়েল মাড্ডি বলেন, কোটিপতিদের নাম যদি থেকে থাকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে। তাছাড়া আমাদের তদারকি (সহকারি প্রকৌশলী) কর্মকর্তা নেই।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, এরকম নাম যদি থেকে থাকে প্রথমত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে তলব করা হবে। দ্বিতীয়ত তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, তারপরে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।